ভোটের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপিতে যোগ দেন টালিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। ভোট শেষে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তীদের পথে হাঁটলেন বনিও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজএইট্টিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার দুপুরে টুইট করে বনি লিখেছেন— এখন থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে আমার সব সম্পর্ক ছিন্ন হলো৷ নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয়েছে এ দল৷ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলা চলচ্চিত্র জগতের উন্নয়নের যে আশ্বাস তারা দিয়েছিল, সে রকম কিছু তাদের তরফে আমার নজরে পড়িনি ৷
দলছাড়ার খবর দিয়ে বনি টুইট করার পরই এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধলেন দেবাংশু। শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল নেতা লিখেছেন— দাদা গো, লোড শেডিং আবার পরে করবে। এদিকে দেখে, সর্বনাশ হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে একের পর এক নেতা বিজেপিতে যোগ দেন। শক্তি বাড়াতে থাকে বিজেপি। দলত্যাগীদের তালিকায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট নেতার। সে তালিকায় যোগ দেন শ্রাবন্তী, তনুশ্রীর মতো অভিনেতাও। ভোট শেষে তৃণমূলে ফিরেছেন রাজীব। বিজেপি ছেড়েছেন শ্রাবন্তীও।
গেরুয়া শিবিরে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যাওয়া এখন উল্লেখযোগ্য নাম শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে লোডশেডিং করে ভোটে জেতার অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূলের একাংশ। এ অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ দেবাংশুও। পূর্ব মেদিনীপুরের নেতা অখিল গিরিও শুভেন্দুকে এ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। বনির দলত্যাগে আজ সে কথা ফের টেনে বের করলেন দেবাংশু।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।